আফ্রিকার দেশগুলোর পর সবচেয়ে বেশি ৯ কোটি ডায়াবেটিস রোগী আছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়। এর মধ্যে বাংলাদেশেই আছে ১ কোটি ১০ লাখের ওপরে। এ বাস্তবতায় আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়বেটিস দিবস। দীর্ঘদিন চেষ্টা চললেও গ্রামের মানুষ এখনো নিয়মিত পরীক্ষা এবং ডায়াবেটিস চিকিৎসার ব্যাপারে উদাসীন।
এ কারণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি সারাদেশে ১০০টি অঞ্চলে ভার্চুয়াল চিকিৎসা সেবা শুরু করতে যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক হাসপাতালে দিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩০০ জন রোগী। ৬০ বেডের এই হাসপাতালে এখন নানা জটিলতা নিয়ে ভর্তি আছেন ১৫ জন রোগী। এদের বেশিরভাগই এসেছেন গ্রাম থেকে। জটিল সমস্যায় পড়ার আগে এরা ডায়াবেটিস পরীক্ষাই করাননি। আবার অনেক রোগী ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পরও নিয়ম মেনে চলেননি, করাননি নিয়মিত চিকিৎসা।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হাত-পায়ের নার্ভ নিস্তেজ হয়ে যায়। তখনই ক্ষত দেখা দেয়। সচেতনতার অভাবে সঠিক চিকিৎসা পান না তারা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার ওপর জোর দেন কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের সহকারী মেডিকেল অফিসার মো. মাসুদ রেজা।
জনসংখ্যা গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিপোর্ট-এর জরিপে বাংলাদেশে এখন ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখের ওপরে। ধারণা করা হয়, ডায়াবেটিস আছে, তবে পরীক্ষা করেননি এমন সংখ্যাও অনেক। এদের সচেতন করতে গ্রাম পর্যায়ে ডায়াবেটিক সমিতি কাজ করছে বলে জানান কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশফিকুর রহমান টরলিন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ নিয়ে বড় পরিসরে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান, কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান লাল্টু।
ছয় মাসে অন্তত একবার সবাইকে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।